রংপুরের বদরগঞ্জে ৪৮ দিনের ছেলেশিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার বাবা হামিদুর রহমান। সোমবার ভোরে শিশুটির মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার আদালতে হামিদুর হত্যার দায় স্বীকার করেন।
বদরগঞ্জ আমলি আদালতের জিআরও আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে জবানবন্দি দেন শিশুটির বাবা হামিদুর রহমান। এ সময় হামিদুর জানান, তিনি আশা করেছিলেন তার চতুর্থ সন্তান মেয়ে হবে। মেয়ে না হওয়ায় তিনি তার ছেলেকে হত্যার জন্য ডোবায় ফেলে দেন।’
আদালত হামিদুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বলেও জানান তিনি।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলার আরাজী দিলালপুর বানিয়াপাড়া গ্রাম থেকে ওই শিশুর হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাবা হামিদুল থানায় ফোন করে জানান, তার ছেলেশিশুটি নিখোঁজ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটিকে পায়নি।
সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে হামিদুল ফের থানায় ফোন করে জানান, শিশুটির মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ডোবায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ হামিদুরকে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদে তিনিই হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ওসি জানান, হামিদুর-ফরিদা দম্পতির আরও তিনটি ছেলে আছে। চতুর্থ সন্তানও ছেলে হওয়ায় রোববার রাতে ৪৮ দিনের ওই শিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘর থেকে নিয়ে যান। পরে তাকে ফেলে দেন বাড়ির পাশের একটি ডোবায়।
হামিদুরের স্ত্রী ফরিদা বেগম জানান, শিশুটির জন্মের পর রংপুর মেডিক্যাল কলেজে অন্য এক দম্পতির মেয়েশিশুর সঙ্গে অদলবদল করতে চান হামিদুর। এতে ফরিদা মত দেননি।
শিশুটির দাদা নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।